সংগৃহীত
পৌষ মাস না আসতেই রাজশাহী, পঞ্চগড়সহ দেশের তিন জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে; যা আরো বিস্তৃত হয়ে দুই-তিন দিন চলতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন আট দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, আরো দুই-তিন দিন শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।
তিনি বলেন, শৈত্যপ্রবাহ আরো বিস্তার হবে। শনিবার, রবিবার তাপমাত্রা কমবে। এরপর তিন থেকে চার দিন বাড়ার পর আবার কমবে। কুয়াশার কারণে শীত বেশি লাগবে।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, তাপমাত্রা নেমে আট দশমিক চার ডিগ্রিতে চলে এসেছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশা ভেদ করে সকালেই সূর্য দেখা গেছে। তবে হিমবাতাসের সঙ্গে প্রবাহিত শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তরের জনপদ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পঞ্চগড়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে; তা অব্যাহত থাকতে পারে।
শুক্রবার সকালে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নয় দশমিক সাত এবং চুয়াডাঙ্গায় নয় দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিবদ্ধ করা হয়।
এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর দেশের সর্বোচ্চ ২৯ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কক্সবাজারের টেকনাফে।
সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আর মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
ডিসেম্বর মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়; ছয় থেকে আট ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
এদিকে আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরের শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে মান্নার উপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে এবং এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়টি পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষের জন্য ইতোমধ্যে সরকারিভাবে দুই হাজার কম্বল ও শীতবস্ত্র কেনার জন্য ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এসব বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সংগঠন ইতোমধ্যে প্রায় ১০ হাজার কম্বল জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করেছে।
পিপলনিউজ/আরইউ
ভারপ্রাপ্ত প্রকাশক, আরিফুর রহমান কর্তৃক
ডা. নওয়াব আলী টাওয়ার, ২৪ পুরানা পল্টন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৩২ ৪১৭ ৫১৭
Email: [email protected]
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || VOD Bangla.com