ঢাকা, বাংলাদেশ ২৪ মে, ২০২৫

ডুমুরের বীজে সুরা ইখলাস লিখলেন তুর্কি ভাস্কর

ডুমুরের বীজে সুরা ইখলাস লিখলেন তুর্কি ভাস্কর

সংগৃহীত

Publish : 10:16 AM, 16 October 2024.
পিপলনিউজ ডেস্ক :

ডুমুরের বীজে পবিত্র আল কোরআনের সুরা লিখেছেন এক ব্যক্তি। মাইক্রোস্কোপ দিয়ে তিনি ডুমুরের ছোট্ট একটি বীজে সুরাটি খোদাই করছেন। 

এমন অসাধ্য সাধন করেছেন নেচাতি কোরকমাজ নামের এক ব্যক্তি।

তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় কুসাদাসির বাসিন্দা নেতাচি। সেখানেই ছোট্ট একটি ঘরে বসে এক নাগাড়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। খুদে জিনিসের এই ভাস্কর মাসের পর মাস ব্যয় করে ডুমুরের বীজটিতে খোদাই করেছেন সুরা ইখলাস। ছয় মাসের চেষ্টায় কাজটি করতে সক্ষম হয়েছেন নেতাচি। 

ডুমুরের বীজ পরিষ্কার করতে ছোট একটি মাকড়সার চুল থেকে একটি ব্রাশ তৈরি করা হয়। আর রিটাচিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে মৌমাছির হুল। সুরা ইখলাস খোদাই করার পর থেকেই ওই ডুমুরের বীজ প্রদর্শনী করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ক্যালিগ্রাফিক বস্তু হিসেবে এটি কুসাদাসির মিনিয়েচার আর্টস মিউজিয়ামে রয়েছে। 

তবে নেচাতির সাফল্যের পালকে আরও একটি অর্জন রয়েছে। ছোট একটি কোরআন হাতে লিখেছেন তিনি। ২০১৪ সালের দিকে ক্ষুদ্র ওই কোরআন হাতে লেখেন নেচাতি। এজন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাকে। ছোট ওই কোরআন লিখতে তিন বছর সময় লেগে যায় তুর্কি এই ভাস্করের।

১২০ পৃষ্ঠার ক্ষুদ্র কোরআন লিখতে তার তিন বছর লেগেছে। পুরো কোরআন হাতে লিখেছেন তিনি। প্রতিটি পৃষ্ঠার ফ্রেম স্বর্ণের ফয়েল দিয়ে সাজানো হয়েছে। এমনকি সবগুলো পৃষ্ঠা সোনালি রঙে সাজানো হয়েছে।

কোরআন হাতে লিখতে গিয়ে চরম ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয় নেচাতিকে। তার ভাষায়, হাতে লেখা বড় কোরআন যেভাবে লেখা হয়, ঠিক সেভাবেই ক্ষুদ্রাকৃতির এই কোরআন লেখা হয়েছে। ধৈর্যের সঙ্গে এই কোরআন লিখতে গিয়ে কেটে যায় সাড়ে তিন বছর। এজন্য ব্যবহার করা হয় শেয়ালের লোম। 

৪০০ বছর আগে মাস্টার সাইদ কাসেম কুবানি একটি চালের উপর সুরা আল ইখলাস লেখার কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।

পিপলনিউজ/আরইউ

-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
[email protected]

বিচিত্র বিভাগের অন্যান্য খবর

Follow Us

ভারপ্রাপ্ত প্রকাশক, আরিফুর রহমান কর্তৃক
ডা. নওয়াব আলী টাওয়ার, ২৪ পুরানা পল্টন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৩২ ৪১৭ ৫১৭
Email: [email protected]

©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || VOD Bangla.com

Develop by _ DigitalSolutions.Ltd