মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ৩৫ ডলারে পাবেন স্মার্ট কার্ড

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) বা স্মার্ট কার্ড কার্ড না থাকায় মালদ্বীপে বেশিরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশি সরকারের দেওয়া নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে শিগগির বাংলাদেশ হাইকমিশনে এ কার্ড সেবাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সেখানকার শ্রম কাউন্সিলর।

দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম পর্যটননির্ভর দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগর বেষ্টিত অপরূপ সুন্দর এ দেশটিতে, এক লাখেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীর বসবাস। কেউ কেউ বিএমইটি বা স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করে গেলেও বেশিরভাগই দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছেন এ কার্ড ছাড়া। ফলে বাংলাদেশ সরকারের দেয়া অনেক সুযোগ-সুবিধা তারা পান না। 

তবে মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশন সুবিধাবঞ্চিত প্রবাসীদের জন্য চালু করছে বিএমইটি কার্ড সেবাদান কার্যক্রম। এখন থেকে হাইকমিশন নির্ধারিত ৩৫ ডলার ফির বিনিময়ে মিলবে এ কার্ড। 

বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রবাসীকর্মীদের বিএমইটি কার্ড দেওয়া হয়। এটি স্মার্ট কার্ড বা ম্যানপাওয়ার কার্ড নামেও প্রবাসীদের কাছে পরিচিত। 

মালদ্বীপে যাওয়ার সময় অনেকে এ কার্ড সংগ্রহ করলেও, বেশিরভাগই দেশটিতে যাওয়ার পর, প্রয়োজনীয়তা বুঝতে না পেরে, তা সংরক্ষণ করেননি। বর্তমানে হাইকমিশনের এ সেবা কার্যক্রমে খুশি প্রবাসীরা।

তারা বলেন, স্মার্ট কার্ডের সেবা কার্যক্রম শুরু করছে হাইকমিশন। এটি প্রবাসীদের জন্য খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। 

বিএমইটি বা স্মার্ট কার্ড মূলত মৃত প্রবাসীদের লাশ দেশে পাঠানো, ভিসা, মেডিক্যাল রেকর্ড, ব্যাংকিং তথ্য ও প্রবাসীদের চাকরির সত্যতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাইয়ে কাজে লাগে। তাই মালদ্বীপে বসবাসরত সব প্রবাসীকে বিএমইটি কার্ড সংগ্রহ করার আহ্বান জানান বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর সোহেল পারভেজ।

তিনি বলেন, প্রবাসীরা বিপদে পড়লে বা অসুস্থ হলে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড বিএমইটি কার্ডের অধীনে সহযোগিতা দিয়ে থাকে। একই সঙ্গে এ কার্ডধারী ব্যক্তিরা ঢাকা বিমানবন্দরের কাছে বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টারে খুব কম খরচে থাকতে পারেন। এ ছাড়া কার্ডধারী প্রবাসীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের সন্তানদের ভর্তি করাতে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। তাই যাদের এই কার্ডটি নেই, তারা দ্রুত এটি সংগ্রহ করবেন।

বিএমইটি কার্ড সংগ্রহ করে বাংলাদেশ সরকারের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করারও আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

পিপলনিউজ/আরইউ